ইউনুছ আলী ফাইম,নওগাঁ প্রতিনিধি.
মাদক বিরোধী যুদ্ধ দেশে দেশে, বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে মাদক বিরোধী অভিযান। এই অভিযানের তথ্য দেশীয় গণমাধ্যম থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণ পর্যন্ত সর্বত্র উঠে এসেছে নানা ভাবে। আলোচনা যেমন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তার সমালোচনাও হচ্ছে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে এমন অভিযান বাংলাদেশেই প্রথম নয়। আরও বহু বছর আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে এর চেয়েও ভঙ্কর স্টাইলের মাদক বিরোধী অভিযান হয়েছে। কোথাও আবার বছরের পর বছর ধরে চলছে।কলম্বিয়াই গত ২০ বছরে মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ লাখেও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। মাদকের করালগ্রাস থেকে রেহায় পায়নি ব্রাজিলও ১৯৭০ এর দশকে সে দেশে মাদকের বিরুদ্ধে শুরু হয় যুদ্ধ, কিন্তু তাতেও সাফল্য আসেনি ২০১৪ সালে দেশটিতে প্রায় ৬০ হাজার হত্যা কা-ের ঘটনা ঘটে। কলম্বিয়াই
২৬ বছরে ৪ লাখেরও বেশি মাদক সংশ্লিষ্টদের মৃত্যু হয়। কোকেন উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কলম্বিয়া মাদক নিয়ন্ত্রণে দেশটি কঠোর ভুমিকা নিয়েছে। বিগত ৩ দশকে মাদক সংশ্লিষ্টতার জন্য দেশটিতে যত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে তা বিশ্বের অন্য কোথাও ঘটেনি। কঠোর আইনের দেশ
যুক্তরাষ্ট্রকেও মাদক নিমূল অভিযানে ব্যার্থতা শিকার করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালে তৎকালিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এক ভাষণের মধ্যদিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপি পরিচিত মেক্সিকো, কিন্তু এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সচেষ্ট দেশটির প্রশাসন এখন পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সেখানে মাদক নিমূল করা সম্ভব
হয়নি। সিঙ্গাপুরের আইনে মাদক দব্য বিক্রয় ও বহনের সাজা মৃত্যুদ- সিঙ্গাপুরের আইন অত্যান্ত কঠোর। নিয়ম অনুযায়ী কেউ মাদক বিক্রয় ও বহন করিলে এবং তা প্রমানিত হলে মৃত্যুদ-ের বিধান রয়েছে। এ অপরাধে ২০০৫ সালে ৪ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিক ভ্যানটন গুয়েইন কে। বাংলাদেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সে নীতি বাস্তবায়নে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নওগাঁ সদর থানার ওসি আব্দুল হাই,ঢাকা২৪.নেট কে বলেন, বাংলাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান সরকারের এক মহতি উদ্যোগ। মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি, মাদক প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সন্তানের উপর খেয়াল রাখতে হবে সে কোন অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছে কিনা, কেমন বন্ধু বান্ধবের সাথে উঠা-বসা করছে। আপনার সন্তানদের প্রতি একটু নজরদারি যা হয়তবা মাদকের করালগ্রাসথেকে রক্ষাকরতে পারে আপনার সন্তানকে। মাদকের বিষয়ে
আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর তৎপরাতর অব্যাহত রয়েছে । এছাড়াও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।