চকরিয়া (কক্সবাজার) | শনিবার,১১ মে ২০১৯:
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন চকরিয়া উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার বেড়িবাঁধ ও নদীর তীরসংরক্ষন বাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তারমধ্যে বেশি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা রাবার ড্যাম পয়েন্টে তিন কিলোমিটার, কোনাখালী ইউনিয়নে সাড়ে ১২শ মিটার, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে তিনশত মিটার, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে পাঁচশত মিটার, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে দুইশ মিটার ও চকরিয়া পৌরসভার আবদুলবারী পাড়া পয়েন্টে দুইশত মিটার বেড়িবাঁধ এবং তীরসংরক্ষন বাঁধ।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, উপজেলার উপকুলীয় সাতটি ইউনিয়ন এবং মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্টে একবছর ধরে অরক্ষিত রয়েছে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার বেড়িবাঁধ ও তীরসংরক্ষন বাঁধ। তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও নদীতে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহ বেড়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হলে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসবে পাহাড়ি ঢলের পানি। তাতে উপকুলের সাত ইউনিয়ন ছাড়াও উপজেলার মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী অনেক ইউনিয়নের লোকালয় সামুদ্রিক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা (এসও) এসএম তারেক বিন সগীর বলেন, গত বর্ষামৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতে এবং মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার বেড়িবাঁধ ও নদীর তীরসংরক্ষন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে জরুরী প্রকল্পের আওতায় কোনাখালী ইউনিয়নের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কাইজ্যাদ্বিয়া পয়েন্টে চারশ মিটার, কন্যারকুম পয়েন্টে দেড়শ মিটার ও মধ্যমপাড়া পয়েন্টে একশ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তীতে অর্থবরাদ্দ নিশ্চিত হলে অবশিষ্ঠ ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও নদীর তীরসংরক্ষন বাঁধের মেরামত কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের ভগ্নদশার কারণে চলমান ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ঝুঁকিপুর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।