আন্তর্জাতিক ডেস্ক | শনিবার,১৮ মে ২০১৯:
আফগানিস্তানের সংঘাত কবলিত দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪ জন। শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা ভয়েস অব আমেরিকাকে হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নহর-এ-সিরাজ জেলায় তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে আফগান সহযোগিদের সহায়তা করতে বিমান হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। প্রাদেশিক কাউন্সিলের প্রধান আতাউল্লাহ আফগান জানিয়েছেন, ভুল করে চালানো এই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাটেলিয়নের এক কমান্ডার রয়েছেন। তবে এই বিমান হামলা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি মার্কিন জোট।
নাইন ইলেভেন হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে শুরু হওয়া আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ২০১৪ সালে। তবে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী। দীর্ঘ লড়াই সত্ত্বেও আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখনও তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনে গত কয়েক মাস ধরেই তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা জোরালো করেছে তালেবান।
এর আগে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে নহর-এ-সিরাজ জেলায় সংঘাতে অন্তত ৮ পুলিশ সদস্য নিহত ও অন্য ১১ জন আহত হওৱয়ার কথা জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, বিমান হামলা নাকি বিদ্রোহীদের হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ওই লড়াইয়ে আফগান বাহিনীর হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তালেবানের এক মুখপাত্র কারি ইউসুফ আহমাদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা প্রাদেশিক রাজধানী লস্কর গাহের পশ্চিমে বাইরে এক পুলিশ ঘাঁটিতে হামলা চালালে ওই স্থাপনায় হামলা চালায় আমেরিকার বিমান। এই বিমান হামলায় ৩৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে আফগান পুলিশের চারজন সিনিয়র কমান্ডার রয়েছে।