নিউজ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০১৯:
ফিনল্যান্ড সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানটি দোহা বিমানবন্দরে অবতরণ করায় বিমানের জ্যেষ্ঠ পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটক করেছে কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাতেই তাকে আটক করা হয় বলে বিমান সূত্র জানিয়েছে।
বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার এ ভিভিআইপি বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের কাছে পাসপোর্ট চাওয়া হলে তিনি তা দেখাতে না পারায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে কাতারে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। বিকল্প একজন পাইলটকেও সেখানে পাঠানো হচ্ছে।’
পাসপোর্ট ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি বিমানের পাইলট কী করে দেশের বাইরে যাত্রা করে, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে মুহিবুল হক বলেন, ‘তাকে আগে দেশে ফিরত আনতে হবে। সেজন্যই পাসপোর্টটি পাঠানো হচ্ছে। তিনি দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে পাসপোর্ট ছাড়া কোনও ব্যক্তির দেশত্যাগ কিংবা বিদেশে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও ক্যাপ্টেন ফজলে মাহমুদের এমন হেয়ালিপূর্ণ কর্মকাণ্ডে সমালোচনা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশের যেকোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ছাড়ার আগে পাইলট, কেবিন ক্রুদের জেনারেল ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হয়। এই ফরমে পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ, গন্তব্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হয়। এছাড়া তাদের ব্যক্তিগত পাসপোর্টও অবশ্যই সঙ্গে নিতে হয়। যা বিদেশে ইমিগ্রেশনকে শো করতে হয়।