ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার,১১ জুন ২০১৯:
দেশি রসালো ফলে ভরপুর বাজার। এর মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনারস ইত্যাদি। এদিকে দামও কমছে বেশভ। বেচাকেনাও জমে উঠেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর, খিলগাঁও, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, মুগদাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মৌসুমি দেশি ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বাড়ায় বাজারে দেশি ফলের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশি ফলের মধ্যে এখন বেশি মিলছে আম ও লিচু। রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে বিক্রেতারা ভ্যানে সাজিয়ে রেখেছেন আম ও লিচু। এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে কাঁঠাল, কলা, জাম, আনারস, জামরুল, লটকন, গাব, বাঙ্গি, তরমুজসহ অন্য ফলও কমবেশি পাওয়া যাচ্ছে।
ফল ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, এখন জ্যৈষ্ঠ মাস। আম-লিচু বেশি পাওয়া যাচ্ছে, দামও কম। ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, হিমসাগর ৮০-১০০ এবং আম্রপলি ৭০-৮০ টাকা। দেশি জাতের একশ লিচু ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চাইনিজ লিচু ৫০০ টাকা। গত সপ্তাহ যে লিচু তিনশ টাকা ছিল, এখন তা বিক্রি করছি ২০০ টাকা।
সব ধরনের আমের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানভেদে ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০-১০০ টাকা, হিমসাগর ৭০-১০০, আম্রপালি ৬০-৮০, খিরসাপাতি ৫০ থেকে ৭০, গুটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। জাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, জামরুল ৫০ থেকে ৮০, সফেদা (কেজি) ১০০ থেকে ১৪০, লটকন ১৬০ টাকা কেজি। একশ লিচু (বড়) ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, আনারস আকারভেদে প্রতি পিস ১৫ থেকে ৬০ টাকা, কলা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ডজন, চায়না বাঙ্গি ৩০ থেকে ৮০ টাকা, বড় বাঙ্গি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, বেল প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা তাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা (প্রতি শাঁস ১০ টাকা)।
ক্রেতা কালাম হোসেন বলেন, রোজায় দাম বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমেছে। একশ লিচু কিনেছি ২০০ টাকা দিয়ে। তবে আমের দাম এখনও তেমন কমেনি। ল্যাংড়া আমের দাম চাচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। এখন আমের মৌসুম, দাম এত বেশি হবে কেন? ইচ্ছে মত দাম রাখে। তবে দোকানের চেয়ে ভ্যানে ফলের দাম কম।