রংপুর | মঙ্গলবার,১১ জুন ২০১৯:
রংপুর মহানগরী ও জেলায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে খুন, ধর্ষণ, নারী শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ড। গত মে মাসে প্রতিদিন গড়ে একজন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া গত এক মাসে সাতজন খুন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ জন নারী ও শিশু। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সচেতন মহলসহ রংপুরবাসী।
সোমবার (১০ জুন) রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ চিত্র তুলে ধরেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, গত মে মাসে রংপুর জেলায় খুন হয়েছে পাঁচজন এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় খুন হয়েছে দুজন। জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯ জন এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয়জন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন, যার মধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকায় রয়েছে ছয়জন এবং জেলার আট উপজেলায় আটজন। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে তিনটি। এর মধ্যে জেলায় একটি এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় তিনটি।
মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে জেলায় ৬৬টি আর মেট্রোপলিটন এলাকায় ৭৬টি। জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। জেলায় অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১৬১টি এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় হয়েছে ৫০টি। সব মিলিয়ে জেলায় গত মাসে ২৭১টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১৪৫টি।
অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে খুন বেড়েছে একটি। তবে এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে চুরি কমেছে। মাদকবিরোধী অভিযান এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে কম হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে কমলেও ধর্ষণের সংখ্যা একটি বেড়েছে। অন্যান্য অপরাধ এপ্রিল মাসের চেয়ে ৭০টি বেড়েছে। মোট অপরাধও কিছুটা বেড়েছে।
এ ছাড়া মে মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২২৮টি। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশ ৬৭টি, জেলা পুলিশ ৪৭টি, র্যাব ছয়টি, জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটি ছয়টি এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ১০১টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে মামলা হয়েছে ১৪৯টি এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭১ জনকে। এ সময় ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ টাকার ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, চোলাই মদ, তাড়িসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।