ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার,১১ জুন ২০১৯:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে শিশুশ্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। আমাদের সরকার শিশুদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতিমধ্যে আমরা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছি।
আগামীকাল বুধবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিশুশ্রম নয়, শিশুর জীবন হোক স্বপ্নময়।’ বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০০৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন, ২০১৩ সালের শিশুশ্রম সমীক্ষা অনুযায়ী তা হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৭ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে শিশুশ্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং শিশুশ্রম বিষয়ক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরনের কাজকে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সন্তানদের যাতে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে না হয়, সে লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে কোন সংঘাত, সংকট, দুর্যোগে শিশুদের অধিকার রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।