নিউজ ডেস্ক | সোমবার, ২৪ জুন ২০১৯:
রাজধানীজুড়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’ কর্মসূচির মাধ্যমে এ পর্যন্ত দেড় লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের সংগৃহীত তথ্যসহ এ পর্যন্ত মোট ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার নাগরিকের তথ্য সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস) ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপি। রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকার বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এ কর্মসূচি শুরু আগে ডিএমপি জানায়, চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত রাজধানীতে বসবাসকারী ২২ লাখ পরিবারের মোট ৬৩ লাখ সদস্যের তথ্য সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে বাড়িওয়ালা ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য ১ লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, অন্যান্য ১১০০ জন। এসব পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন।
এছাড়া ড্রাইভার ও গৃহকর্মী আছেন ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন। ডিএমপি সূত্র জানায়, ভাড়াটিয়াদের তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক ভাড়াটিয়া জানান, পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে ঠিকই, কিন্তু যারা দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছেন, তাদের তথ্যগুলো সঠিক কিনা, সেটি যাচাই করা হচ্ছে না। মূলত ভাসমান নাগরিকের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে কাজটি আরও ভালো হবে।
আরও জানা গেছে, ঢাকার বস্তিগুলোতে ভাসমান লোকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে। তারা দীর্ঘদিন এক জায়গায় বসবাস করে না। তবে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহে এসব বস্তিতে বসবাসকারীদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে পুলিশ। বস্তিগুলোতে ভাসমান বাসিন্দা বেশি হওয়ায় অপরাধীরা এসব জায়গায় আস্তানা গাড়ে। সুযোগমত অপরাধ করে অন্যত্র পালায়। তাই বস্তির তথ্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, নাগরিক নিরাপত্তার স্বার্থে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে সহজে কেউ অপরাধ কর্মকা- ঘটাতে পারবে না।