চট্টগ্রাম | বৃহস্পতিবার,০৪ জুলাই ২০১৯: চট্টগ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পোশাক শ্রমিক (১৮)। বুধবার রাতে (৩ জুলাই) আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেড থেকে কাজ শেষে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে দুবৃর্ত্তরা দলবেঁধে ধর্ষণ করে এ তরুণীকে। মুমূর্ষু অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে (১৮) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। রাতের চেয়ে তরুণীর অবস্থা কিছুটা ভাল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে চোখ মেলে তাকিয়েছেন। অল্প অল্প কথাও বলতে পারছেন।’
এ ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশার চালক এবং যাত্রীবেশী দুই দুর্বৃত্ত জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ। নির্যাতিত তরুণী কোরিয়ান ইপিজেডের কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। চন্দনাইশের বাড়ি থেকেই তিনি প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন।
জ্ঞান ফেরার পর তরুণীর সঙ্গে কথা হয়েছে এমন বরাত দিয়ে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘অটোরিকশায় যারা ছিল তারা অপরিচিত বলে তিনি জানিয়েছেন। তাদের শারীরিক গঠনসহ কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। সেই তথ্য ধরেই আমরা কাজ করছি।’ তরুণীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি দুলাল আরও বলেন, ‘ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। ওই অটোরিকশায় চালক ছাড়া আরও দুইজন ছিল। তারাই ওই তরুণীকে কালার মার দিঘী সংলগ্ন চায়না রোডের এলাকাটি নির্জন নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ধারণা করছি।’
ধর্ষণের পর ওই তরুণীকে চাতরি চৌমুহনী ও চায়না রোডের সংযোগ অংশে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এদিকে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কিশোরীর বড় ভাই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ওই কিশোরী এখনও চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তার সাক্ষ্য নেয়া হবে।’