ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার,১০ জুলাই ২০১৯:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধ রিকশা শনাক্ত করতে বৈধ রিকশাগুলোতে কিউআর কোড বসানো হবে। সেই সঙ্গে মূল সড়কে রিকশা না চলে চলাচল করবে বাইলেনে। এছাড়া তারা (রিকশাচালকরা) নন-মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট (এনএমটি) বা বাইলেনে রিকশা চালাবেন। বুধবার (১০ জুলাই) গুলশান নগর ভবনে রিকশাচালক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে উত্তর সিটির প্রদান সড়কে রিকশা চলাচলে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের আতিকুল ইসলাম বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কের মধ্যে যেসব জায়গায় সার্ভিস ও বাই লেন আছে সেসব অংশে শুধু বৈধ রিকশা চলাচল করতে পারবে। আর কুড়িল থেকে রিকশা ইউটার্ন নিতে পারবে। এর বাইরে আর কোথাও রিকশা চলাচল করতে পারবে না। এখানে যেসব রিকশা চলবে সেখান থেকেও পর্যায়ক্রমে রিকশা বন্ধ করা হবে। রিকশাচালক ও মালিক ভাইদের নিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চাই।
মেয়র বলেন, আমাদের উত্তর অংশে প্রায় দুই হাজার ৩শ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। আমরা কুড়িল থেকে রামপুরা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এবং গাবতলী থেকে মিরপুর রোডে ৬ কিলোমিটার; এই ১৫ কিলোমিটার সড়ক রিকশার আওতামুক্ত রেখেছি। বাকি অংশ তাদের জন্য তো রয়েছেই।
এছাড়াও বৈধ রিকশা সহজে চিহ্নিত করতে ডিএনসিসিতে নিবন্ধিত প্রায় ২৭ হাজার রিকশায় কিউআর কোড বসানো হবে বলেও জানান আতিক।
তিনি বলেন, বৈধ রিকশাগুলোতে আমরা কিউআর কোড বসাবো। কিউআর কোডের যেন জালিয়াতি না হয় তার জন্য প্রয়োজনে বুয়েট বা এমআইএসটির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। রিকশাচালকদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করে ওয়ার্ডভিত্তিক পোশাক দেওয়া হবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বৈঠকে অংশ নেওয়া রিকশাচালক ও মালিক নেতারা। রিকশা-ভ্যান শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বৈঠক থেকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা তাতে সন্তুষ্ট। তবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য আলাদা লেনের কথা বলেছেন। লেন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় চলতে চাই। তবুও এখন যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা তা মেনে চলবো।