ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ২০১৯:
২৬ মামলায় ভুল আসামি হিসেবে বিনা দোষে জাহালমের তিন বছর জেল খাটার পেছনে দুদক ও মামলার পিপিসহ সকলের সমন্বয়নহীনতার রয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছেন দুদক। জাহালমকে নিয়ে দুদকের করা অভ্যান্তরীণ তদন্ত প্রদিবেদনে এ সমন্বয়নহীনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২৩ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হলে আদালত এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এর আগে ১১ জুলাই বেলা ২ ঘটিকায় মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এ সময় বিনা দোষে জেল খাটা জাহালমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল ভুল আসামি হয়ে ২৬ মামলায় কারাগার থেকে থাকার পর জামিনে মুক্তি পাওয়া জাহালমকে দেখতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাকে ১৭ এপ্রিল উপস্থিত থাকতে বলেন।
হাইকোর্টে নজরে আনা এ মামলার আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, ‘জাহালম এখন কেমন আছেন ও কেমন জীবন যাপন করছেন তা আদালতে এসে বলতে বলা হয়েছে।’
এর আগে গত ৬ মার্চ জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো ৭ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় ওসব মামলায় তার অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত। যার ফলে কারামুক্তি পান জাহালম।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থানের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এআদেশ দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।