1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সরকারি করণের যাচায়ের জন্য প্রায় বিশ জন শিক্ষক ও কর্মচারিদের চাকরির মূল কাগজপত্র অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কর্তৃক গায়েব, শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
  • ১০৯ পাঠক

ফারুক আহমেদ,
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একমাত্র কলেজ হলো বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ। আজ শনিবার বাঞ্ছারামাপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারিদের মূল কাগজপত্র ,মার্কশীট, সাটিফিকেট,রেজুলেশন,যোগদানপত্র ও নিয়োগপত্র অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম গায়েব করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী সোমবারের মধ্যে ডিজির কাছে সকল শিক্ষক এবং কর্মচারিদের কাগজপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ। যাদের কাগজপত্র খোঁজে পাচ্ছেন না তারা হলেন,সহকারি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, সহকারি অধ্যাপক দর্শন এমতিয়াজ হোসেন,নীলুফার বেগম,কায়সার আহমেদ,কায়ুম সিকদার,আব্দুল হালিম,জাকির হোসেন,আবুল কাসেম,মো.সাইদুর রহমান প্রমূখ।
আব্দুর রহিম অধ্যক্ষকে গত ০৬-০৬-২০০৫ তারিখে তার পূর্ব কর্মস্থল এম,এ আব্দুর রউফ কলেজ মানিকগঞ্জ থেকে পেশাগত গুরুতর অসদাচরনের কারণে সাময়িক বরখান্ত হন।

এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর শিক্ষক এবং কর্মচারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৪/০৪/১৯ তারিখে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তথ্য যাচাই কালে আব্দুর রহিম এর কাছে তার সমকালের সংরক্ষিত বিভিন্ন রেজিস্টার, রেজুলেশন ও কাগজপত্রে ফ্লুইড করা হয়েছে যাতে ভূল তথ্য সংযোজন করার আশংকা রয়েছে এবং এই সময়ের পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন মর্মে ডকুমেন্ট পাওয়ায় অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এবং তার স্ত্রী রত্মা খানমের নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ না। কারণে রত্মা খানমকে প্রথম তিন জন মেধা স্থান অধিকারীকে বাদ দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন।তাই অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম ও তার স্ত্রী রত্মা খানম বাদে অন্যান্য সকল অস্থায়ী পদ সৃজনের জন্য সুপারিশ করেন।

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজরে সহকারি অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন একটা অবস্থায় পড়ব তা কখনো ভাবিনি। তিনি আরো বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এবং তার স্ত্রী রত্মা খানমের কাজগপত্র ঠিক না থাকায় আমাদের সকলের কাগজ তিনি গায়েব করেছেন। তিনি আরো বলেন,২০১৬ সালে কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তদন্ত কর্মকর্তা হারান দেবনাথ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে আমাদের কাগজপত্র সঠিক ভাবে যাচায় করেছেন এবং সব কাগজপত্র ঠিক ছিলো।আামদের সকলের মূল রেজুলেশন দেখেই তারা কাগজপত্র নিয়ে গেছেন।আগামী সোমবার ডিজির কাছে কাগজপত্র পাঠানোর শেষ দিন। তিনি আরো বলেন যেহেতু রেজুলেশন বই হারানো গিয়েছে তাহলে থানায় জিডি করলো না কেন এখনো? অধ্যক্ষই আমাদের সকলের কাগজপত্র গায়েব করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের জাতীয় করণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সাগর বলেন, কিছুদিন আগেও আমি রেজুলেশন বইটি দেখেছি।
এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেন, রেজুলেশনের দুটি বই খোজে পাচ্ছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি।

এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, রেজুলেশনের বই খোঁজে পায় না সেটা আমি জানি না। তবে কিছুদিন আগে আমি নিজে রেজুলেশন বই দেখে কলেজের সকল শিক্ষকদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি।

এব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর সরকরি কলেজের দুটি রেজুলেশন বই খোঁজে পায় না সেটা আমাকে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেছেন।

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD