নিউজ ডেস্ক | মঙ্গলবার,১৬ জুলাই ২০১৯:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে মেয়েদের হলে সপ্তাহব্যাপী ‘Awareness Campaign on Cyber Safety & 999’ প্রোগ্রামটি করতে দেয়া হয়নি। ডাকসুর বাজেট থেকে প্রোগ্রামটির জন্য পাওয়া এক লক্ষ টাকার ৪০ হাজার টাকার উপরে ইতোমধ্যে তিনি খরচ করে ফেলেছেন বলে জানান। ফলে ডাকসুর বাজেট থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪০ হাজার টাকা লস হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালাটির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলে। বিশেষ করে ছাত্রীরা যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কোনো ধরনের যৌন হয়রানির শিকার না হয় এবং পাশাপাশি সচেতন হয়, সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনটির আয়োজন করা।
সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় ১৬ জুলাই মঙ্গলবার হতে ২২শে জুলাই পর্যন্ত চলার কথা ছিলো। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড সেইফটি ট্রেইনারগণ আসার কথা ছিলো।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে সাইবার সচেতনতা প্রোগ্রাম ছিলো। এনিয়ে নিয়ম অনুযায়ী হল সংসদ ও হল প্রশাসনের সাথে কয়েক দফায় আলোচনাও করেন তিনি। আজকের প্রোগ্রামে হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবা নাসরিনের উপস্থিত থাকার কথা ছিলো।
প্রোগ্রাম উপলক্ষে প্রচার প্রচারণা, ব্যানার, নাস্তা সবকিছুই সম্পন্ন ছিলো।
কিন্তু প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে প্রোগ্রামে হল প্রাধ্যক্ষ থাকতে পারবেন না বলে জানান। ফলে ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক তিনি না থাকতে পারলেও অন্য কোন ম্যামকে থাকতে অনুরোধ জানান এবং প্রোগ্রামটি করার অনুমতি চান। হল প্রাধ্যক্ষ ডাকসুর অন্যরা বিষয়টি জানেন কিনা সেটা জিঙ্গেস করেন এবং সবার সাথে সমঝোতা করে পরে অন্য সময় এ প্রোগ্রাম করতে বলেন।
এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, সাইবার সচেতনতা নিয়ে প্রোগ্রামটি করার জন্য আমি ডাকসু থেকে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাই। ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী লিখিতভাবে অনুমতিও দিয়েছেন। প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবে বলে ভিসি স্যার মৌখিকভাবে অনুমতিও দেন। কিন্তু আজকে যখন প্রোগ্রামের দিন আসলো সব আয়োজন সম্পন্ন, আমাকে প্রোগ্রাম করতে দেয়া হচ্ছে না। ভিসি স্যারকে জানালে তিনি মেয়েদের হলে না করে অন্যত্র বাইরে প্রোগ্রাম করার পরামর্শ দেন।
আখতার অভিযোগ করেন ডাকসু অন্য নেতাদের অসহযোগিতায় তিনি প্রোগ্রাম করতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রোগ্রাম বিষয়ে এর আগে থেকেই সব কিছু আমি ডাকসুর সবাইকে অবহিত করি। প্রোগ্রামে থাকার জন্য সাদ্দাম হোসেনকে বারবার কল দেয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত অন্য নেতাদের অভিযোগ, মেয়েদের হলে সংগঠনটির জনপ্রিয়তার জন্যই সেখানে তাদের নেতাদের প্রোগ্রাম করতে দেয়া হয়নি। ডাকসু নির্বাচনে মেয়েদের অধিকাংশ হলে একচেটিয়া ভোট পায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে নির্বাচন করা ভিপি নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
এ বিষয়ে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ মাহবুবা নাসরিন বলেন, তাদেরকে প্রোগ্রাম করার বিষয়ে মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার পারিবারিক কাজ থাকায় আমি থাকবো না বলে জানাই এবং সবার সাথে আলোচনা করে অনুষ্ঠান করতে বলি। কিন্তু তারা সমঝোতায় আসতে পারেনি তাই মনে হয় প্রোগ্রাম হয়নি।
কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসুর সদস্য ফরিদা পারবিন বলেন, আখতার আমাকে প্রোগ্রামে থাকতে বলেছিলো আমি হলে ছিলাম। কিন্তু কেন প্রোগ্রাম করতে পারেনি তা জানি না।