নিউজ ডেস্ক | বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯:
যেকোনও দেশ ও সমাজের উন্নয়নে শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশকে উন্নত এবং দারিদ্র্যমুক্ত করতে উন্নত শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। এবার আমরা ৫৫ দিনের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমানের ফল দিতে পেরেছি। আমি খুব খুশি।’
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও ফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি।
ফলাফল হাতে পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটা ভালো।’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা ৬০ দিনে ফলাফল দিয়েছি। এবার ৫৫ দিনে এইচএসসির ফলাফল দেয়া হলো। এটা খুব খুশি সংবাদ। এজন্য আমি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি মনে হচ্ছে। লিঙ্গ সমতা ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
চলতি বছরের এইচএসিস ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডে সার্বিকভাবে ৭৩.৯৩ শতাংশ হারে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। যেখানে ৮টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন।
এ বছর এইচএসিস ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৯০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিপরীতে ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করতে পারেননি।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী। ৮টি সাধারণ বোর্ডে এবার পাসের হার ৭১.৮৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ৮০৭ জন। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৬ জন পরীক্ষার্থী।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল সারা দেশে ২ হাজার ৫৮০টি কেন্দ্রে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।