ফারুক আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিল্লাল কাজী গলাকাটা ফি আদায় করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার আইয়ুবপুর ইউনিয়নে কড়িকান্দি গ্রামের অলেক মিয়া বিল্লাল কাজীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।প্রত্যেক ইউনিয়নের কাজীরা টাকা বেশি নেয় বলে জানা যায়।
সরকারি বিধিমালাকে তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত টাকা নেয় কাজী।আইন ,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ১০ এপ্রিল,২০১১ ইং মোতাবেক মুসলিম বিবাহ নিবন্ধনের ফি প্রতি ১ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১২.৫ টাকা । সেখানে আরো বলা আছে ৪ লক্ষ টাকার অধিক হলে পরবর্তী প্রতি লক্ষ বা অংশ বিশেষের জন্য ১০০ টাকা। কাজীদের যাতায়াত খরচ বাবদ প্রতি ১ কি.মি. জন্য ১০ টাকা। কিন্তু বিল্লাল কাজী প্রতি কি.মি. নিচ্ছেন ৫০০-১০০০ টাকা।
কোন ধরনের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে, সংশিষ্ট প্রশাসনের গাফিলতি ও অবহেলার সুযোগে অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে জনগনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব বিধি না মানা কাজীরা। যেন দেখার কেহ নেই। কেননা বিবাহ নিবন্ধনের কোন আইনই তারা মানছেনা। নেই কোন একসেস। ভুয়া জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয় যাচাই বাচাই ব্যতীত বিভিন্ন জায়গায় বিবাহ অনায়াসে পড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মতো অহরহ অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
আইয়ুবপুরের ইউপি সদস্য মো, আলামিন মেম্বার বলেন,বিল্লাল কাজী কারো কথা শুনে না। আমি কাজীকে এত করে বললাম যে গরিব মানুষ দুই লক্ষ টাকার দেনমোহর ২হাজার টাকা দেই। কিন্তু বিল্লাল কাজী আমাকে বলে ৫ হাজার টাকা থেকে এক টাকা কম হলেও আমি কাবিননামা করব না। পরে অনেক কষ্ট করে টাকা ব্যবস্থা করে দ্ওেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বিল্লাল কাজী বলেন,আমরা যাতায়াত খরচ,লেখার খরচ সব মিলিয়ে টাকা নেই।
এব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো.শাহিন আলম বলেন,যদি তারা গ্রামের নিরহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে, তাহলে আমি বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে সুপারিশসহ প্রেরণ করব।