কুড়িগ্রাম | মঙ্গলবার,২৩ জুলাই ২০১৯:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট-সেলিমনগর ৮ কিলোমিটার সড়কে শত শত খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-ছোট দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজের টেন্ডার কার্যক্রম ঝুঁলে থাকায় যেকোনো মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
রাজারহাট থেকে সেলিমনগর খেদাবাগ সড়কের দুরত্ব ৮কিলোমিটার। এ সড়কের পাশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উত্তরাঞ্চলের একমাত্র কৃষি আবহাওয়া অফিস রয়েছে। কুড়িগ্রাম-চিলমারী- উলিপুর হয়ে রাজারহাট-তিস্তা ব্যস্ততম মহাসড়কের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় তিস্তা বাজারের পার্শ্ববর্তী একটি ব্রিজ নির্মাণ করার পর সংযোগ সড়কে ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় পানি প্রবাহিত হলে রাজারহাট-তিস্তা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাজারহাট-সেলিমনগর সড়কটি ব্যস্ততম হয়ে পড়ে।
গত ৩ বছর আগে এলজিইডি বিভাগের আওতায় সড়কটি মেরামত ও সংস্কার করা হলেও বছর না ঘুরতেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কের কার্পেটিংসহ মাটি উঠে গিয়ে বেশ কয়েকটি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া শত শত খানা-খন্দ হওয়ায় যান চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চালক ও যাত্রীদের। প্রতিদিনই ছোট-খাট দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও খাম-খেয়ালিপনার কারণে দীর্ঘ ১বছরেও সড়কটি সংস্কার হয়নি।
ভোগান্তির শিকার যাত্রী ও চালকরা বলেন, ‘সামান্য রাজারহাট সেলিমনগর সড়কে এত বেশি গর্ত হয়েছে যা কল্পনা করা যায় না। এটি দিয়ে সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মিনি বাস, ডে-নাইট কোচ, ট্রাক তো দূরের কথা হেঁটে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া বৈদ্যেরবাজারের পাশে একটি ব্রিজের দু’ধারের মাটি উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বাধ্য হয়ে বাস-মিনিবাসসহ ভারী যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করছে। এ সড়কটি উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদ ও পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার সংযোগ সড়ক। সড়কটি দিয়ে চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজারহাট উপজেলার শত শত মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য যাতায়াত করে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে শতশত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠগুলোতে আসা-যাওয়া করে।’
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মো. শফিউল্লাহ্ জানান, রাজারহাট-সেলিম নগর সড়কটির সংস্কার কাজের টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। টেন্ডার হয়ে আসলে সংস্কার দ্রুত করা হবে।