নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০১৯:
রাজধানীর মিরপুরের-৭ নম্বর সেকশনে আগুন লেগে বস্তির অধিকাংশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের পাশিপাশি যোগ দিয়েছে পুলিশ, র্যাব, ওয়াসার সদস্য এবং বস্তিবাসীরাও।
এ আগুনে এখন পর্যন্ত দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের একজনের নাম কবির (৩৫) বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকা মোড়ের পাশের বস্তিতে লাগা আগুন এখন বহুতল ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে লাগা এ আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিট।
আগুনে বাঁশ, কাঠ ও টিনের চালা দিয়ে তৈরি পাশাপাশি ঘরগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। চোখের সামনে নিজেদের থাকার ঘর, জিনিসপত্র ও জীবনের সঞ্চয় পুড়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বস্তিবাসী। এ সময় তাদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
বস্তিবাসীরা জানান, চলন্তিকা ঝিলপার বস্তিতে ২০ হাজার পরিবারের বাস ছিল। আগুনে সব ঘর পুড়ে গেছে। কেউ আটকা পড়েছে কি না তাও জানা যায়নি।
জমির মিয়া নামে এক বস্তির বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে কিছুই আনতে পারিনি। পরনের কাপড় ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। টাকা, আসবাবপত্র, কাপড়, টিভি, থালা-বাটি সব পুড়ে গেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন ঘণ্টার আগুনে বস্তির প্রায় ৩ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বললেও পানির অভাবে নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। তবে ভেতরে পোড়ার মতো আর কিছু না থাকায় আগুন নিজ থেকে কমে যাচ্ছে।
পানির সংকট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে বাসা বাড়িতে মানুষ না থাকায়, এমন পানির সংকট তৈরি হয়েছে।