1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

নদী লিজ দিয়ে দিলো পৌরসভা!

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৯
  • ১০২ পাঠক

লক্ষ্মীপুর | রবিবার,২৫ আগস্ট ২০১৯:
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ডাকাতিয়া নদীর ৯ একর জমি অবৈধ লিজ দিয়েছে রায়পুর পৌরসভা। সম্প্রতি রায়পুর উপজেলা কাঞ্চনপুর এলাকার ভূঁইয়া ট্রেডার্স নামে বদিউল আলমকে দুই বছরের জন্য এই লিজ দেয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, ডাকাতিয়া নদীর জমি রায়পুর পৌরসভার লিজ দেয়ার সুয়োগ নেই।

সূত্র মতে, ডাকাতিয়া নদীর ৯ একর রায়পুর পৌরসভার ও ৭৭ একর জমি প্রভাশালীরা দখল করে নেন। আর দখলদাররা নদীর বুকে ২০ থেকে ২৫টি বাঁশের বাঁধ দিয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বসবাসের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বাঁধ দিয়ে চলছে অবৈধ মাছ চাষ।

এদিকে, ডাকাতিয়া নদীতে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় পানি নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কচুরিপানাসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। দখল আর দূষণে ডাকাতিয়া নদী হারাতে বসেছে তার ঐতিহ্য।

রায়পুর উপজেলার সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান জানান, ডাকাতিয়া নদীর মহিলা কলেজ থেকে হায়দরগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত এক সময় বিএনপি নেতা বদরুল আলম জিন্নাসহ অনেকে দখল করে। এবার রায়পুর পৌরসভা থেকে ভূইয়া ট্রেডার্স লিজ নেয়। এছাড়া কিছু অংশে মহিলা কলেজ থেকে চালতাতলী বর্তমান মেয়র মাছ চাষ করছেন। হায়দরগঞ্জ রোড থেকে উত্তরে দুই অংশে একটিতে শিশির, আরেক অংশে সিরাজ সর্দার মাছ চাষ করছে।

রায়পুর পৌর সভার মেয়র ইসমাইল হোসেন খোকন বলেন, ‘পৌরসভার মধ্যে কোনো বদ্ধ জলমহাল অথবা কোনো পুকুর ২০ একরের নিচে হলে তা পৌরসভা তত্ত্বাবধান করবে এমন সরকারি গেজেটে রয়েছে। তাই নদীর ৯ একর জায়গা ৫ লাখ টাকায় লিজ দিয়েছি।’

নদী দখল করে মাছচাষ করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি পৌর মেয়র বলে আমার নাম আসতেই পারে।’

এ প্রসঙ্গে ডাকাতিয়া সুরক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জানান, অবৈধ দখলে ডাকাতিয়ার দু’পাশেই অবৈধভাবে দোকানঘর, বাসাবাড়ি নির্মাণসহ লুট করা হচ্ছে নদীর ঐতিহ্য।

তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ডাকাতিয়া নদী লুটে-পুটে খাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। এই কারণেই বাঁধে ময়লা-আবর্জনা আটকে বর্ষায় জলাবদ্ধ হয়ে থাকছে রায়পুরের আশপাশের এলাকা।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুসা বলেন, ‘ডাকাতিয়া নদীর কোনো অংশই ইজারা দেয়া হয়নি। যারা মাছচাষ করছে তারা অবৈধ।’

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর অবস্থা দেখার জন্য যাব। ডাকাতিয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া সরকারিভাবে পৌরসভা লিজ দেয়ার সুয়োগ নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।’

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল জানান, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের উদ্যোগসহ স্রোত প্রবাহের আশ্বাস দেন।

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD