নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯:
সারা দেশে মহামারি আকার ধারণ করা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের ‘পদক্ষেপ পর্যাপ্ত নয়’ বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ডেঙ্গু রোধে গাফিলতি ও ব্যর্থতায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আনা মশা মারার নতুন ওষুধ ‘ডেল্টামেথরিন’ গত ২০ আগস্ট থেকে রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ছিটানো হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।
আজ আদালতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এসময় মশক নিধনে তদন্ত কমিশন গঠন ও আদালতে উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর আগামী বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন হাইকোর্ট।
এদিন অপর এক প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হাইকোর্টকে জানায়, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকেও সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমছে জানিয়ে আদালতে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদন দাখিলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।
এর আগে গত ২০ আগস্ট এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। মশক নিধনে চলমান অভিযান সম্পকেও বিস্তারিত জানাতে চান আদালত। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যানও জানাতে বলা হয়।