নিউজ ডেস্ক | সোমবার , ২৬ আগস্ট ২০১৯:
স্বায়ত্বশাসন তুলে নেয়ার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরমধ্যে দেশ দুটি যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। নিজ নিজ দেশের পক্ষে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সৈন্য। যেকোনও সময় পাক-ভারত নতুন যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
এরইমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তথ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে বলেছেন, ‘ভারত যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে পাকিস্তান তা শেষ করবে। এই যুদ্ধ শুধু শ্রীনগর অথবা জম্মুতে শেষ হবে না। তা শেষ হবে দিল্লিতে। মুসলমানদের রক্ষা করার এই যুদ্ধে পাকিস্তানের প্রত্যেক সেনা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।’
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান কখনও যুদ্ধ শুরু করবে না। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনও করবে না। কিন্তু যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিক এ যুদ্ধে অংশ নেবে।’
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে পাকিস্তানে গভর্নর হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেন, ‘বিশ্বের সামনে ভারতের মুখোশ খুলে দিতে হবে। কাশ্মিরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চালানোর জন্য ভারত তৎপরতা শুরু করেছে।’