নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০১৯:
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেছেন, আসুন বন্ধুরা আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে সোনার বাংলা গড়ার সারথি হই।
মঙ্গলবার ( ২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কতৃর্ক আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শোভন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে আমার অনুরোধ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করে এবং সে অনুযায়ী পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। আমরা তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে একটি সুন্দর সমাজ গঠন করবো। একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করবো। আমাদের মাঝে দেশাত্মবোধ থাকতে হবে। মাতৃভূমির প্রতি যে ভালোবাসা থাকতে হবে। অসহায় ও দারিদ্র্যের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই মানবিক গুণগুলো আমাদের মাঝে থাকতে হবে।
শোভন আরো বলেন, মুখে শুধু জয় বাংলা স্লোগান দিলে চলবে না। সেগুলো ধারণ করে নীরবে কাজ করতে হবে। লোক দেখানো কাজ করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব না। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে ও দুই লাখ মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছে তাদের অনেকের পরিচয় কিন্তু আমরা জানিনা। কিন্তু তারা নীরবে দেশের জন্য কাজ করেছে। নীরবে দেশকে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয় আমরা এক উন্নত জীবনযাপন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হয় সেটা বাস্তবায়ন করব।
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আমাদের বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের শুধু আলোচনা করলে হবে না। বঙ্গবন্ধু একদিনেই বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেন নি। বঙ্গবন্ধু একদিনেই জাতির পিতা হয়ে উঠেন নি। পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটাতে হয়েছে জেলখানায়। যার ফলশ্রুতিতে তিনি হয়ে উঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, আমাদের জাতির পিতা।
শোভন আরো বলেন, ‘১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসের সেই কলঙ্কময় দিন। সেদিন আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির পিতাকে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার পর চার বছরে দেশটিকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। দেড়শ’র মতো দেশের স্বীকৃতি নিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন, সব মিলিয়ে দেশটিকে একটি জায়গায় দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি। তাদের চক্রান্তের কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। তার নেতৃত্ব দিয়েছে খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান।