বিনোদন ডেস্ক | শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯:
সালমান শাহ্ নামের ঢাকাই চলচ্চিত্রের ধূমকেতুর পতন হয় রহস্যজনক এক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। তবে একটুও ম্লান হয়নি তার আলোর। আগামীকাল (৬ সেপ্টেম্বর) হতে যাচ্ছে সালমান শাহকে হারানোর ২৩ বছর। দিনটি ছিল শুক্রবার। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বা সকালের কোনো এক সময় মৃত্যু হয় সালমান শাহ্’র।
জনপ্রিয় এই নায়ক আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল—২০ বছরেও পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি এ প্রশ্নের। তবে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে থাকা এই তার দেহের সাথে পাওয়া গিয়েছিলো একটি সুইসাইড নোটের। হস্তবিশারদেরা পরীক্ষা করে এটা সালমানের হাতের লেখা বললেও, সেটা মানতে চাননি সালমানের মা নীলা চৌধুরী।
সালমানের বাসা থেকে উদ্ধার করা সেই সুইসাইড নোট বা আত্মহত্যার চিঠিতে কি লিখা ছিলো!
চিঠিতে লেখা আছে, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পিতা-কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ১৪৬/৫, গ্রীনরোড, ঢাকা-১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’
এই চিঠিতে কারও স্বাক্ষর ছিল না। তবে সিআইডির হস্তবিশারদেরা পরীক্ষা করে বলেছেন, এটা সালমান শাহের হাতের লেখা।
কিন্তু সালমানের মা নীলা চৌধুরী এই চিঠি নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে ইমন নামেই ডাকতাম। অথচ চিঠিতে ইমন নামের কোনো অস্তিত্ব নেই। ও থাকে ইস্কাটনের বাসায়। কিন্তু ঠিকানা লেখা আছে আমাদের বাসার। সালমান শাহ নামটিও ঠিকানার পরে লেখা।’
চিঠির ভাষার আনুষ্ঠানিক ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নীলা চৌধুরী আরও বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে এ রকম মামলা লেখার স্টাইলে এত গুছিয়ে বাবার নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে চিঠি লেখে বলে আমার জানা নেই। এখানেই আমার ঘোরতর সন্দেহ।’
সালমান শাহ্র অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র্যাব একে একে মামলাটির তদন্ত করে। মাঝখানে ১৫ বছর ধরে চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনেই এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ার পর পরিবারের আপত্তির (নারাজি) মুখে তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে।