নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার ,২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম পরিবেশ পরিষদ বিষয় উত্থাপন করলে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডাকসুর কার্যালয়ে তৃতীয় কার্যকরী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডাকসু’র এজিএস সাদ্দাম হোসেনের পরিচালনায় ডাকসুর সভাপতি ও ভিসি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ভিপি নূরুলহক নূরসহ অন্য সম্পাদক ও সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তবে ডাকসু’র ২৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে জিএস গোলাম রাব্বানীসহ মোট তিনজন সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি আমাদের কার্যনির্বাহী সভার এজেন্ডায় ছিল। সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্তটি পাস হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি সিনেট ও সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, ডাকসু ধর্মভিত্তিক উগ্রবাদী ও মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা ধর্মকে পূঁজি করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়। ব্যাপারটি ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নয়। কারণ সংবিধান অনুযায়ী সেটি আমরা পারি না।
উল্লেখ্য, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ১৯৯০ সালে জাতীয় ছাত্রসমাজকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পরিবেশ পরিষদ। পরের বছরে ১৯৯১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদ ক্যাম্পাসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎপরতা নিষিদ্ধ করে।
ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ ক্যাম্পাসের সকল সক্রিয় ছাত্র সংগঠন এই পরিবেশ পরিষদের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও এই পরিবেশ পরিষদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি- প্রোভিসি প্রক্টর থাকেন।
তবে ২০১৮ সালের আলোচিত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির অংশ না নিলেও চরমোনাই পীরের দলের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ইশা) পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে নির্বাচন করেছে।