নিউজ ডেস্ক | সোমবার,৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেয়া ভাষণের পরই ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মির নিয়ে আবারও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই ধারবাহিকতায় গত শনিবার জম্মু-কাশ্মিরে পৃথক বন্দুকযুদ্ধ ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পৃথক দুই বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনের এক সদস্যসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এসময় এক সেনা সদস্যও প্রাণ হারান।

পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রভাবে নতুন করে কাশ্মিরের মুসলিমদের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে- এই আশঙ্কায় কাশ্মিরজুড়ে সেখানকার বাসিন্দাদের চলাফেরার বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ভারতের পুলিশ।

মূলত জম্মু এলাকার রামবান জেলায় এক বেসামরিক নাগরিককে জিম্মি করার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা চলে ওই বন্দুকযুদ্ধ।

গেল শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ইমরান খান ভারত কাশ্মির থেকে যখন বিধি-নিষেধ তুলে নেবে তখন ‘রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে’ বলে বিশ্বকে সতর্ক করেছেন।

ভারত সরকার গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে এক কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে কাশ্মিরি মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তান।