বিদেশ ডেস্ক | শুক্রবার,৪ অক্টোবর ২০১৯:
সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের অন্যতম আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির ভারতের নাগরিক তালিকা-এনআরসির কার্যক্রম। বিভিন্ন সময় দেশটির ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ পর্যায় থেকে ‘এনআরসি থেকে বাদ পড়া মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে’ এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
তবে কূটনৈতিক পর্যায় থেকে এখনও এমন ভাবে বলা হয়নি। এটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার- তাই দেশটি সরকারি শীর্ষ পর্যায় থেকে বাংলাদেশকে এনিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘর সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন মোদি। সেই আশ্বাসে আশ্বস্ত শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকারপ্রধান বর্তমানে অবস্থান করছেন ভারতে। দেশটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
গণমাধ্যমটির সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জাতিসংঘ অধিবেশনে পার্শ্ববৈঠকে মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে তার। এবং নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন যে এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়া কিছু নেই।’
কয়েক দফায় খসড়া তালিকা প্রকাশের পর গত ৩১ আগস্ট (শনিবার) স্থানীয় প্রকাশিত হয় ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক তালিকা। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইশতেহারে অন্যতম ইস্যু ছিল নাগরিক তালিকা চূড়ান্ত করা।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এনআরসি বাংলাদেশের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে মোদি বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশের দারুণ সম্পর্ক। এনআরসি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসে সন্তুষ্ট কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। আমি কোনও সমস্যা দেখি না। আমার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। সবকিছু ঠিকই আছে।’
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৫ অক্টোবর দিল্লিতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিনে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন।