আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রীকে বাসায় রেখে কাজে গিয়েছিলেন স্বামী। এই সুযোগে চার যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই লোকের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষকদের বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন বাড়ির মালিক।
থার্টি ফাস্ট নাইটে এই ঘটনা ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে থানা এলাকায়।
জানা গেছে, তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- রতন দাস, সৌগত সরকার ও মৃণাল বিশ্বাস। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছেন।
২৪ পরগনার এএসপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, আর কেউ জড়িত ছিল কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। বুধবার বারাসত জেলা হাসপাতালে ওই নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে দত্তপুকুরে কলেজ ছাত্র সৌরুভ চৌধুরী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল রতন। পরে অভিযোগ দূর্বল হওয়ায় ছাড়া পায় সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থার্টি ফাস্ট নাইটে এলাকার একটি পিকনিক চলছিল। সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে মত্ত অবস্থায় নাচানাচি করছিল কয়েকজন যুবক। রাত ২টা নাগাদ চার যুবক ওই নারীর ঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন বাড়ির মলিক। তিনিও বাড়িতে একা থাকেন।
বাড়ির মালিক বলেন, মাইক বাজছিল। এর মধ্যেই দরজা ভাঙ্গার শব্দ শুনে বাইরে আসি। সৌগত বলে এক যুবককে দেখেছিলাম। ওরা আমাকে গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। একজন ঘুষি মেরে আমাকে নালায় ফেলে দেয়। এরই মধ্যে ওরা নারীর ঘরে ঢুকে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পর আশপাশের মানুষকে ডাকডাকি করে নিয়ে এসে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পাওয়া যায়। দশ দিন আগে ওই দম্পতি এই এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ওই যুবকরা প্রথমে জানালায় ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলে। ভয়ে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তখন দরজা ভেঙে চার যুবক ঘরে ঢুকে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে যুবকরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১১ সালে এলাকার অসামাজিক কার্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে খুন হয়েছিলেন কলেজ ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার ও তার দলবলকে এলাকা থেকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল ধর্ষক রতন। সৌরভ হত্যাকাণ্ডে শ্যামলসহ অন্যরা সাজা পেলেও প্রমাণের অভাবে ছাড়া পান রতন। সূত্র: আনন্দবাজার