স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পের্কে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুদকের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ সেপ্টম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
ইশরাত হাসান ও আমিনুর রহমান চৌধুরীর দায়ের করা রিটের পক্ষে এদিন আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বন্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ও আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল এ রিট দায়ের করেন।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে, তা প্রতিহতের জন্য মন্ত্রণালয়ে ২৫ দফা সুপারিশ করে দুদক। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা দেওয়া, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইকুপমেন্ট ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়।
এসব উৎস বন্ধে দুদকের করা ২৫ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- তথ্য বহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত, ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক বা কর্মচারী ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কি-না এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা; ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকদের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারিদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ দেওয়া যেতে পারে।