আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টাকাহিরো শিরাই জাপানের এক যুবক। তিনি ৯ জনকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তিনি। টুইটারে যোগাযোগ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে টাকাহিরো। ওই ঘটনাগুলো জাপানের বহুল আলোচিত।
ওই হত্যার ঘটনায় ওই ‘টুইটার কিলার’কে ২০১৭ সালে আটক করে দেশটির পুলিশ। যাদের হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রতঙ্গের বিভিন্ন অংশ তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টোকিওর একটি আদালতে টাকাহিরো তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
এদিকে, তার শাস্তি কমানোর ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন অভিযুক্তের আইনজীবীরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল বুধবারের তার শুনানি দেখার জন্য আদালত সাধারণ মানুষদের ব্যাপক আগ্রহের দেখা গেছে। প্রায় ৬ শাতধিক লোক ১৩ টি পাবলিক গ্যালারী আসনের জন্য দাঁড়িয়ে তার এ শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অভিযুক্ত টাকাহিরো শিরাই একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলেন। বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন এমন নারীদেরকে টার্গেট করতেন শিরাই। তার ফাঁদের শিকার হন ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সীরা তরুণীরা। তাদের হত্যার পর অঙ্গ-প্রতঙ্গ যামা শহরে তার নিজের বাসায় সংরক্ষণ করতেন শিরাই।
তার নয়জন হত্যার শিকারের মধ্যে ৮ জনই নারী ছিলেন তার মধ্যে একজনের বয়স ছিলো ১৫ বছর।
জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, তার হত্যার শিকার হয়েছেন একজন ২০ বছর বয়সী পুরুষ। যে কিনা তার গার্ল ফ্রেন্ডকে খুজেতে তার কাছে এসেছিল।
এমন হত্যাকাণ্ডের পর টুইটারে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, টুইটারে আত্মহত্যাকে উৎসাহিত এমন কোন প্রচারণা চালানো যাবে না।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডর্সি এটিকে চরম দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করেন।