স্পোর্টস ডেস্ক;
কোচ দিয়েগো সিমিওনে ও সমর্থকদের কারণেই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে এসেছি আমি। এখানকার সবাই খুব ভাল। সবার সহযোগিতায় রোজি ব্লাঙ্কোদের হয়ে অনেক গোল করতে চাই।
গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। বার্সেলোনার ক্লাব কর্তাদের দেয়া কষ্ট আর মনে রাখতে চাননা বলে জানান তিনি। তবে, মেসি তার কাছে আলাদা। আর্জেন্টাইন তারকাকে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বলেও মনে করেন সুয়ারেজ।
২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনিকে কামড় দেয়ার ঘটনার পর উরুগুয়ে ও লিভারপুল সব জায়গাতেই সমালোচনায় জর্জরিত ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। কেউ আস্থা রাখতে পারছিলোনা এই স্ট্রাইকারের প্রতি। দুঃসময়ে তার পাশে এসে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। ক্লাবে যোগ দেয়ার পর ভালই কাটছিলো সময়।
কাতালানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেজ। কিন্তু গেল মৌসুম নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সুয়ারেজ। বার্সেলোনাও পায়নি প্রত্যাশিত সাফল্য। তাই তো একরকম জোর করেই সুয়ারেজকে অ্যাতলেটিকোর কাছে বিক্রি করে দেয় বার্সা।
শুরুতে খারাপ লাগলেও অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন সুয়ারেজ। প্রথম ম্যাচেই করেছেন বাজিমাত। অ্যাতলেটিকো কোচ সিমিওনে ও সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ সুয়ারেজ। ক্লাবে যোগ দিয়ে প্রথমবারের মত গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এই উরুগুইয়ান তারকা।
অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ বলেন, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ স্পেনের ফুটবলে অন্যতম সেরা একটি ক্লাব। এ ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছি এটা সত্যিই গর্বের। মূলত কোচ সিমিওনের কারণেই আমার এখানে আসা। এই ক্লাবের হয়ে শিরোপা জিততে চাই আমি। অ্যাতলেটিকিোর সমর্থকরাও আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
বার্সেলোনার তিক্ত অভিজ্ঞতা কতটুকু পোড়ায় সুয়ারেজকে? প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতে চাইলেন উরুগুইয়ান তারকা। বললেন এগিয়ে যেতে চান সামনের দিকে।
সুয়ারেজ বলেন, দেখুন জীবনে বার্সেলোনার কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছি এটা সত্যি। তবে, কাতালানরা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেও। তিক্ত স্মৃতিগুলো আকড়ে পড়ে থাকলে, সামনে এগোতে পারবোনা। আমি সব ভুলে যেতে চাই। অ্যাতলেটিকোই আমার ভবিষ্যত। এখানেই ভাল আছি আমি।
বার্সেলোনাকে ভুলে গেলেও কখই মেসির ঋণ শোধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সুয়ারেজ।
সুয়ারেজ আরও বলেন, মেসি আমার অনুপ্রেরণা। ও আমার প্রিয় বন্ধু। ক্যারিয়ারে ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি। ওকে কখনোই ভুলবনা। ওর ঋণ শোধ হওয়ার নয়।
দুই বছরের চুক্তিতে অ্যাতলেটিকোতে এসেছেন সুয়ারেজ।