স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
প্রায় আড়াই বছর আগে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে একসঙ্গে আরও ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রাসেল সরকারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, ‘৩ মাসের মধ্যে একসঙ্গে ২০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইনকে নির্দেশ দেয়া হলো। তিন মাসের মধ্যে ওই অর্থ দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দেবে গ্রিন লাইন।’
এদিন আদালতে রাসেল সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার সামসুল হক রেজা, আর গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ৫ মার্চ শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য ১৫ এপ্রিল দিন ঠিক করেছিলেন। এরমধ্যে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় আদালতে সাধারণ ছুটি শুরু হয়ে যায়। এছাড়া এ বেঞ্চটি পুনর্গঠন করা হয়।
২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের ধাক্কায় প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক গাইবান্ধা থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি রিট আবেদন করেন। এই রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ মে রুল জারি করেন। রুলে কেন রাসেল সরকারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
পরে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এক আদেশে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।
পরে গ্রিনলাইনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাসেল সরকারকে টাকা (পরিশোধের অর্থ বাদ যাবে) দেয়ার আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। তবে পরিশোধের অর্থ বাদ দেয়ার পর বাকি যা থাকবে তার ওপর হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ থাকবে। এরপর হাইকোর্টে রুল শুনানি শুরু হয়। রুল নিষ্পত্তি শেষে আজ এ রায় দিলেন আদালত