আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটক ও বিদেশীদের জন্য সীমান্ত খুলতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার এক ঘোষণায়দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি এ তথ্য জানায়। চলতি বছরে পর্যটননির্ভর অর্থনীতিটি বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে।
দেশটিতে গত বছর যেখানে চার কোটি পর্যটক এসেছিল, এবার তার ভগ্নাংশ মাত্র এসেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক লকডাউন এবং দেশগুলোর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ায় পুরো থমকে দাঁড়িয়েছে ভ্রমণ, পর্যটন ও আকাশসেবা খাত।
মহামারিতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পর্যটকদের কাছে নিরাপদ অবকাশ গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে থাইল্যান্ড। কভিড-১৯-এ দেশটিতে মাত্র ৫৯ জন মারা গেছে। এই অবস্থায় যে দেশগুলোর নাগরিকদের করোনার ঝুঁকি কম, কেবল তাদেরকেই থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যারা আসবে তাদেরকে ১৪ দিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের (টিএটি) মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রথম ধাপে ১৫০ জন চীনা পর্যটক ফুকেত আসছে। আগামী সপ্তাহে রিসোর্ট দ্বীপটিতে তাদের ফ্লাইট পৌঁছবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
প্রথম দলটির যদি কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে আরো দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। একটিতে চীনা পর্যটক ও অন্যটিতে ইউরোপীয় পর্যটক থাকবে। সীমিতসংখ্যক পর্যটকই থাইল্যান্ডে আসতে পারবে এবং তাদের বাহুবন্ধনী ও মোবাইল ফোন অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মহামারিতে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে দেশব্যাপী পর্যটন অপারেটরা এবং তারা সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। খবর এএফপি।