লালমনিরহাট সংবাদদাতা:
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মোস্তফা আলী নামে এক রং মিস্ত্রিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলী ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এরআগে গত শনিবার সকালে ওই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয় এবং তাঁর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
পুলিশ জানায়, সর্দারপাড়া প্রাণকৃষ্ণ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মোস্তফা আলী রং মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত শনিবার সকালে মোস্তফা আলী নিজ বাড়ি থেকে রং ক্রয় করার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করে পথে জগতবেড় ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একই এলাকার হামিদুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী তাছলিমা বেগম, মেয়ে হাওয়া খাতুন, আব্দুল খালেক, নুরুল হক, মোস্তফা ও ফাতেমা বেগম সকলে মিলে মোস্তফা আলীকে আটক করে তার কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করে।
মোস্তফা ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারপিট করে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তাকে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে।
ঘটনাস্থলে থাকা অনেকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ ঘটনায় ওই দিন নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলীর স্ত্রী মহসেনা বেগম পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন।
পাটগ্রাম থানা পুলিশ অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), আব্দুল খালেক ও ফাতেমা বেগমকে আটক করে রবিবার লালমনিরহাট আদালতে প্রেরণ করেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনের শিকার মোস্তফা আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছেন। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।