স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের (ডিএনসিসি) চলমান অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদের তৃতীয় দিন আজ মঙ্গলবারও (৬ অক্টোবর) অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ১ হাজার ৫৫টি অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।
পরে উচ্ছেদকৃত সাইনবোর্ড নিলামে ৬১ হাজার ৯৩৭ টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫৫টি মামলায় মোট ৯ লাখ ৯০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর পরিচালনায় উত্তরা আজমপুর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৫০টি সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সাইনবোর্ড নিলামে ২৩ হাজার ৬২ টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭টি মামলায় ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উত্তরা শাহ মখদুম এভিনিউতে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১০৫টি অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সাইনবোর্ড নিলামে ৯ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৮টি মামলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার পরিচালনায় মাসকট প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩০০টি অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সাইনবোর্ড নিলামে ৫ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স লা থাকা, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স প্রদর্শন করাসহ বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের পরিচালনায় খিলক্ষেত, নিকুঞ্জ ও কুড়িল এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। উচ্ছেদকৃত এসব সাইনবোর্ড নিলামে ১৬ হাজার ৮৭৫ টাকা বিক্রি করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৬টি মামলায় ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের পরিচালনায় উত্তরা ৩, ৫ ও ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬টি মামলায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উচ্ছেদকৃত সাইনবোর্ড নিলামে ৮ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।