স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গণসমাবেশ ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। বুধবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচি শেষে চার দফা দাবিতে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, শাসকের অনুগ্রহভাজন মজুদদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে চরম মুনাফাবাজি চলছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সাধারণ মানুষ ভূখা-নাঙ্গা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। খাদ্যাভাবজনিত সংকট রোধকল্পে বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তারা আরও বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের দাবি, সরকারকে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। হিসাব করে দেখা যায়, সরকার প্রতি বছর একটি ফ্লাইওভার প্রকল্প বাদ দিলে, সেই টাকায় ৮ কোটি মানুষকে রেশন সুবিধা দেওয়া সম্ভব। ভোটারবিহীন নির্বাচনের দেশে উন্নয়নের ফাঁকিবাজির রাজনীতির পরিবর্তে গরিবের পেটে অন্ন দেওয়া অনেক উত্তম।
তাদের দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা ও বাজেট বরাদ্দ করা, নগর ও গ্রামের দরিদ্র মানুষের সঠিক তালিকা প্রণয়ন, রেশনিং ব্যবস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিটি এলাকায় গণতদারকি কমিটি গঠন ও সরকারের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের রেশনিং ব্যবস্থার মধ্যে আনা।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. এম.এ.সামাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান, কৃষক মোর্চার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাসুম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল হক সরকার, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম মাস্টার ও নারায়গঞ্জ জেলার সদস্য সচিব মাসুম মিয়া প্রমুখ।