নিজস্ব প্রতিনিধি:
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাটের আন্ধার মানিক গ্রামের এক কিশোরী গৃহবধূকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছে পরিবার। রবিবার (১১ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় ইউপি সদস্য পরান ভুইয়া।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ সোমবার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সে বর্তমানে অচেতন অবস্থায় হিজলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে।
হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ অসীম কুমার সিকদার জানান, অচেতন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৃহবধূর ভগ্নিপতি আবু বকর অভিযোগ করেন, মেহেন্দিগঞ্জের আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা ওই গৃহবধুকে একই এলাকার নাজমুল আকন, বাবু বেপারী ও রাজিব ফকির রবিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আটকে গণধষণ করেন।
স্থানীয় ফারুক ভুইয়া ওই গৃহবধূ ও ধষকদের ঘরের মাঝে আটকে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য পরান ভুইয়া, ফারুক ভুইয়া, মিলে ত্রিশ হাজার টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তিন যুবককে ছেড়ে দেন।
গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউপি সদস্য পরান ভুইয়ার উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর পরই গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু ওই গৃহবধূ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার রাতে তাকে পাশ্ববর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কাজীরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনমাস আগে গৃহবধূর বিয়ে হয়েছে। ভগ্নিপতি আবু বক্করের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রবিবার রাতে ওই গৃহবধূ এক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিবেশী রাজীবের ঘরে যায়। তখন স্থানীয় ফারুক ভূইয়া বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। সকালে গৃহবধূকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবার থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শাহ রাজ হায়াৎ বলেন, গৃহবধূ শঙ্কামুক্ত। তবে তিনি কথা বলতে পারছেন না।