দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এন্টিজেন কিট আমদানি করে সরকার ‘বেআইনি’ কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবার আগে এন্টিজেন ও এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করি। সরকার আমাদের এন্টিজেন কিট আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করাতে বলে। তখন আমি সরকারকে বোঝাই, আমিতো আমার দেশের মানুষের জন্য এই কিট বানিয়েছি। ৪টি দেশে এম্বাসেডরের সঙ্গে আমি ফাইট করেছি।’
‘বলেছি এটা আমাদের দেশের ব্যাপার ভালো হলে ভালো, খারাপ হলে খারাপ, তুমি কেনে মাথা ঘামাও? তখন আমাদের কিটের বিষয়ে নতুন একটা কন্ডিশন দেয়া হলো, আমেরিকা অথবা সুইডেনের তৃতীয় পক্ষের একটা ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে। সেখানে আমাদের প্রায় আরও এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে’- বলেন জাফরুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, আমি তৃতীয় বিশ্বকে ঠকানোর জন্য রাজি হইনি। এখন সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এন্টিজেন কিট আমদানি করছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার এন্টিজেন কিটতো আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করেনি। এখন কথা হচ্ছে আমাকে যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়াকেও সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বেলা তারা সেই নীতি অনুসরণ করছে না। এটা একেবারে বেআইনি কাজ করছে সরকার। দেশের কিটের বেলায় এক নিয়ম, আর অন্যদেশের কিট হলে আরেক শর্টকাট নিয়ম হতে পারে না। নাকি এখানে টাকা পয়সার বিষয় জড়িত?’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমাদের কিট তৈরি আছে, কিন্তু বাজারজাত করতে পারছি না। অন্তত ৪টি দেশ আমাদের এন্টিজেন কিট নিতে চাইছে। কিন্তু সেখানে কন্ডিশন হচ্ছে কিট আমাদের দেশে রেজিস্টার্ড হতে হবে। সেকারণে আমি তাদেরকেও দিতে পারছি না। দেশ এবং পৃথিবীর মানুষেরও উপকার করতে পারছি না।’