মাঠের বাইরে বেফাঁস সব কথাবার্তা আর উদ্যমী আচরণে প্রায়ই বিতর্কের মুখে পড়েছেন ভারত দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তবে সম্প্রতি অন্যরকম এক হার্দিককেই দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব।
বলতে গেলে হইহুল্লোড়ের জীবন ছেড়ে অনেকটাই গম্ভীর ও দায়িত্ববোধের বাঁধনে জড়িয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অফিশিয়াল টুইটারে পোস্ট করা হার্দিক ও তার পরিবারের একটি ভিডিও তেমনটাই বলছে।
ভিডিওতে স্ত্রী নাতাশা স্ট্যানকোভিচ ও তাদের ফুটফুটে সন্তানের সঙ্গে মধুর সময় কাটানোর কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সেখানে হার্দিক জানিয়েছেন, বাবা হওয়ার পর কতটা বদলে গেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে আসার আগে আমার স্ত্রী নাতাশা আর ছেলের সঙ্গে কাটানো ১৫ দিন ছিল অসম্ভব ভালো লাগার। আমার জন্য পরিবারকে বিদায় জানানো খুব কষ্টকর ছিল। এর আগে দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে গেলে পরিবার থেকে বিদায় নেয়ার সময় এমন অনুভব হয়নি আমার। নাতাশাকে ছেড়ে থাকাটা সবচেয়ে কঠিন এখন আমার জন্য। তাদের ছেড়ে চলে আসার সময় আমি বলে এসেছি, এ বিচ্ছিন্নতাকে পরে আনন্দ দিয়ে পুষিয়ে দেব।
হার্দিক বলেন, পিঠে অস্ত্রোপচারের পর থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে আমার জীবনে। জীবনসঙ্গী নাতাশাকে পেয়েছি, বাবা হয়েছি। এসব পাওয়া অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি এ থেকে জীবনের মূল্যবোধে অনেক কিছু শিখেছি।
এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই আমি আমার পরিবারকে অনেক ভালোবাসি এবং আমার জীবনে পরিবারের গুরুত্ব অনেক। আমি বুঝেছি যে, আমার মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কারণ এখন আমি বিশ্বাস করি, আমার সব কিছুই এখন থেকে আগাস্তা (হার্দিকের ছেলে) ও পরিবারের জন্য।
হার্দিক পান্ডিয়া যে নিজেকে পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন তা জানা গিয়েছিল শুক্রবারই। সেদি রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয়ের পর ‘সুপার স্ট্রাইকার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার জেতেন হার্দিক।
পুরস্কার গ্রহণের সময় সঞ্চালক ড্যানি মরিসন পান্ডিয়াকে জিজ্ঞেস করেন, বায়ো সিকিউর বাবলের কারণে পার্টিতে যাওয়া কি মিস করেন?
জবাবে পান্ডিয়া বলেন, ‘আমি এখন একজন বাবা হয়েছি। তাই আমার মনে হয়, আমার ওসব মিস করা উচিত নয়। আমার বরং বাচ্চার ডায়পার বদলানো মিস করা উচিত।’