ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশনে উত্তরা হাই কেয়ার জেনারেল হসপিটালেরে ডাক্তার এবং নার্সের বিরুদ্ধে রোগীর সাথে প্রতারণার করার অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরা ৭ নাম্বার সেক্টরে অবস্থিত এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ডাক্তার এবং নার্স উভয়ই মাত্র ৭৫ টাকার ট্রাইলন (৪০এমজি) ইনজেকশনের মুল্য তাদের নিকট দাবি করেন ৩ হাজার টাকা। ইনজেকশনটি সব জায়গায় পাওয়া যাবেনা বলে সিরিয়াল ম্যান্টেন করা নার্সকে ডেকে ইনজেশনটি আনতে পাঠায় পরে নার্স এসে রোগীকে জানান ট্রাইলন (৪০এমজি) ইনজেকশনটির মূল্য তিন হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু ট্রাইলন (৪০এমজি) ইনজেকশনটি হাসপাতালের নিচে ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭৫ টাকায়। শনিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রোগীর সাথে এমন প্রতারনার এ ঘটনাটি ঘটে।
ওই হাসপাতালে আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগী ভুক্তভোগী কহিনুর বেগম এবং তার ছেলে আহসান কবির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হাড়েঁর সমস্যা জনিত কারনে আমার মাকে ডাঃ মাহামুদ খানে সিরিয়াল দেই এবং ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার মাহামুদ খান আমাকে একটি সাদা কাগজে দুটি ইনজেকশনের নাম লিখে দেয় এবং একজন নার্সকে ডেকে আনেন ইনজেকশনটি কিনে আনতে নার্স কিছুক্ষন পর গুরে এসে আমাকে জানান ইনজেকশন দুটির দাম তিন হাজার টাকা পরবে এটা সব জায়গায় পাওয়া যায় না। বিষয়টি আমার সন্ধেহ হলে
আমি নিজেই হাসপাতালের নিচ থেকে ইনজেকশন দুটি কিনে আনি ৭৫ টাকা দামে ১৫০ টাকায় আমি ইনজেকশন কিনে আনায় আমার সাথে ডাক্তার এবং নার্স খারাপ আচরন করতে শুরু করে আমি বিষয়টি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানালে তারাও আমাদের সাথে খারাপ আচরন করেন। পরে আমি ইনজেকশন পুশ না করে আমার মাকে বাড়ি নিয়ে আসি। আহসান হাবিব আরো অভিযোগ করে বলেন,ডাক্তাররা যদি এমন প্রতারণা করে তাহলে আমরা রোগী নিয়ে যাবো কোথায়।
রোগীর জামাতা আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, হাঁডরে ব্যাথার জন্য আমার শাশুড়ি কোহিনুর বেগমকে উত্তরার হাই কেয়ার জেনারেল হসপিটালে ডাঃ মাহমুদ খানকে ৭০০ টাকা ভিজিটে দেখানোর জন্য নিয়ে আসে আমার শ্যালক আহসান কবির।
পরে ডাক্তার সাহেব তাকে দেখে সাদা কাগজে একটি ট্রাইলন (৪০এমজি) নামের দুটো ইনজেকশন লিখে দেয় নার্সদের হাতে।
এবিষয়ে রোগীর স্বজনরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে উত্তেজিত হয়ে উঠে তারাও। পরে ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানায় রোগীর লোকজন পরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির কারন জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন ডেকে আনেন ডাঃ মাহমুদ খানকে।
এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডাঃ মাহমুদ বলেন, এটি একটি ক্রিটিক্যাল ইনজেকশন। আমি এই ইনজেকশন পুশ করতে ১৫ শ করে নেই। কারো সমস্যা থাকলে দিবে না। আমার সিনিয়াররা এর চেয়ে আরো বেশি চার্জ নেয়। বেশি দাম কেন চাইলেন যবাবে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হইছে। আমার এই ঘটনাটি আজই প্রথম হইছে।
এসময় উত্তরা মিডিয়া ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাই কেয়ারের হসপিটালের পার্টনার পরিচয় দানকারী মাহমুদ সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তৎবির শুরু করেন।
এবিষয়ে হাই-কেয়ার জেনারেল হসপিটাল লিঃ এর ম্যানেজার মীর ওমর ফারুক বলেন, আসলে বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। চিকিৎসক দুটি ইনজেকশন পুশ করার জন্য রোগীর কাছে ১৫০০ টাকা করে ৩০০০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি চার্জ নেওয়া হয়ে থাকে। আর প্রতিটি ইনজেকশনের দাম ৭৫ টাকা। যা আমাদের ফার্মিসিতে পর্যাপ্ত রয়েছে। আপনাদের হাসপাতালে ইনজেকশন পুশ করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট খরচের চার্ট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো লিখিত চার্ট নেই। চিকিৎসকরা কার কাছ থেকে কত টাকা পুশিং চার্জ নিবেন। তা তারাই ঠিক করে নেন।