স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী খননের মাধ্যমে সারা দেশে নৌবাণিজ্য সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান হবে, বেকারত্ব দূর হবে ও কৃষি নির্ভর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহন সহজ হবে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের (শেরপুর জেলাধীন) ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসাইন খান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুস সামাদ, শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার অঙ্গীকার শত বছরের পুরনো নদীর গতি পথ ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন; তারই ফলশ্রতিতে সারাদেশে ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি দেশকে পিছাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকর রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১ বিলিয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। নদী খননের কারণে যদি জনগণের কোন ক্ষতি হয় সরকার ক্ষতি পূরণে তার পাশে থাকবে। ক্ষতির তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষে শপথ নিয়ে সকলকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে অনুরোধ করেন। তিনি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ২২৭ কিলোমিটার নৌপথ খনন কাজে স্থানিয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন আলোচ্য নদী খননের মাধ্যমে অত্র এলাকায় বিশেষ করে জামালপুর শেরপুর জেলার সাথে নৌপথে বিভিন্ন জেলা সহ প্রতিবেশী দেশের নৌবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে স্থাপিত ড্রেজার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর অংশে ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ হতে জঙ্গলদী চর হয়ে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটারে ৫৫.৭৮ লাখ ঘন মিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং ৪১.৮৪ লক্ষ ঘনমিটার মেইনটেনেন্স ড্রেজিং করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রকল্পের কাজ অক্টোবর ২০২০ এ শুরু হয়ে ২০২৪ এর জুনে শেষ হবে। এরফলে সারা বছর পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে চলতে পারবে। কৃষি কাজে সেচ ও মৎস্য চাষে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ড্রেজিংএর মাধ্যমে নাব্যতা পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নাব্যতা রক্ষা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নৌপথ পুনরুদ্ধার জন্য সারা বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর লক্ষ্য “পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার” প্রকল্প গ্রহণ করেছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় শেরপুর জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ১৮ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে।