‘আপনার মেয়েকে নিয়ে যান, না হলে সাদা কাপড় পড়ে যেতে হবে’ ফোনে এমন ভাবে অন্তঃসত্তা গৃহবধূর মাকে জানিয়েছিলো তার স্বামী। এর একদিন পরেই আসলো চার মাসের অন্ত:সত্তা সেই গৃহবধুর আত্মহত্যার খবর। এতে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য ছড়িয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয় তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই গৃহবধু দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার পশালবাড়ী ইউনিয়নের ভান্ডারাই গ্রামের জহল্লাল রায়ের মেয়ে।
নিহতের মা সন্ধা রাণী রায় অভিযোগ করে বলেন, সাত মাস আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বিনত রায়ের ছেলে সজীব রায়ের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে তার শ্বশুরবাড়ীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের কারণে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গতকাল আমার জামাতা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। তা না হলে সাদা কাপড় পড়ে যেতে হবে।
তিনি আরো জানান, আমার মেয়ে যখন থেকে অন্তঃসত্তা হয়, তারপর থেকেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্য অনেকবার পরিকল্পনা করেছিল।
সাবেক ইউপি সদস্য মেঘনা রায় বলেন, ইতিপূর্বে তারা মেয়েটির উপর নির্যাতন চালিয়েছিল। এ ব্যাপারে আমি তাদের বাসায় গিয়েছিলাম। ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর দুইটার দিকে কিন্তু আমাদের খবর দেয়া হয় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসার পরে। সজীবের পরিবারে সাথে যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।