আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পৃথিবীতে যত খেলা আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় খেলার নাম হচ্ছে সাইকেল রেস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই খেলা অন্য খেলাকে পিছে ফেলে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। দিন দিন বাড়ছে এ খেলার জনপ্রিয়তা। সাইকেল রেসিং একটি অলিম্পিক খেলা হিসেবে স্বীকৃত হয়। সাইকেল ঘোড়দৌড় বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় বিশেষ করে ইউরোপ বাইসাইকেল, ডেনমার্ক ফ্রান্স জার্মানি, ইতালি নেদারল্যান্ডস, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডে সাইকেল চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দেশ রয়েছে।
সাইকেল ক্রীড়া প্রতিযোগিতামূলক শারীরিক কার্যকলাপ বাইসাইকেল ব্যবহার করে। রাস্তা সাইবেল রেসিং, টাইম ট্রায়ালিং, সাইকেল ক্রস, মাউন্টেন বাইক রেসিং, ট্রাক সাইক্লিং, বিএমএক্স এবাং সাইক্লিং চক্র পোলো, ফ্রিলেস এবং পরবর্তী সাইকেল ট্রায়াল অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ইউনিয়ন সাইক্লিস্ক ইন্টারন্যাশনাল হল সাইক্লিং এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক সাইক্লিং ইভেন্টের জন্য বিশ্ব শাসক সংস্থা।
করোনাকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বেড়েছে এর ব্যবহার। রাজধানী ঢাকাতেও রয়েছে বিভিন্ন সাইকেলিং গ্রুপ। তারা বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তবে এ সাইকেল রেসিং থেকে প্রতি বছর মারা যান বহু সাইকেলিস্ট। এর পেছনে কারণ কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ঝুঁকিপূর্ণ খেলা
রোড সাইক্লিং শুনলে মনে হয় রাস্তা দিয়ে নিরাপতে সাইকেল চালানো। মোটেই তা নয়। উঁচুনিচু, এবড়ো-থেবড়ো রাস্তা দিয়ে চালাতে হয় সাইকেল। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে অনেক। ১৮৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২.স্ট্যান ওকার্স
বেলজিয়ামে এই সাইক্লিস্ট খ্যাতির শিখরে উঠেছিল ১৯৫৫ সালে। তার বয়স তখঝন ৩৫ বছর। সে বছর আরডেনস ক্লাসিকস, লিগে বাস্তোনের সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছিলেন। ঠিক পরের বছরই এন্টোয়ার্পে ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হন। দুদিন পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
৩. ক্নুড এনেমার্ক জেনসেন
১৯৬০ সালে অলিম্পিক রোড রেসের সময় রোমে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডেনমার্কের ক্নুড এনেমার্ক জেনসেন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাইকেল থেকে পড়ে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তারও।
৪. জোয়াকিম আগোস্টিনো
পর্তুগালের জোয়াকিম আগোস্টিনোর মৃত্যুটা বেশ অস্বাভাবিক। গতি কমাতে না পারায় কুকুরের সঙ্গেই সংঘর্ষের ফলে পড়ে গিয়ে চোট পান মাথায়। আর সুস্থ্য হননি।
৫. ফাবিও কাসারটেলি
ইতালিয়ান সাইক্লিস্ট ফাবিও কাসারটেলিও ব্যথা পেয়েছিলেন মাথায়। ১৯৯৫ সালে টুর ডি ফ্রান্সে পাওয়া সেই ব্যথা আর বাঁচতে দেয়নি তাকেও।
৬. আন্দ্রেই কিভিলেভ
পেশাদার সাইক্লিস্টদের সবাই হেলমেট পরা শুরু করেছেন কাজাখস্তানের আন্দ্রেই কিভিলেভের মৃত্যুর পর থেকে। ২০০৩ সালে প্যারিস-নিস রেস চলার সময পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান তিনি। চোট ভয়ানক হওয়ায় কোমায় চলে যান। তাকেও আর বাঁচানো যায়নি। এরপরই কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সময় হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়।
৭. ভাউচার ভেলান্ডট
বেলজিয়ামের এই সাইক্লিস্ট গিরো ড ইটালিয়ায় অংশ নেওয়ার সময় দেয়ালে ধাক্কা লেগে পড়ে যান। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তার।
৮. আন্টোনি ডেমোইটি
বেলজিয়ামের এই সাইক্লিস্ট পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০১৬ সালে। সে বছরই আরেক সাইক্লিস্টের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে গিয়ে ব্যথা পান। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় তার।
৯. ডেভিড কানাডা
২০০৬ সালে একবার আহত হওয়ায় শেষ হতে বসেছিল কার ক্যারিয়ার। ২০১৬ সালে অপেশাদারদের এক প্রতিযোগিতায় দুর্ঘটনায় পড়ে মৃত্যু হয় স্পেনের এই সাইক্লিস্টের।
১০. বিয়র্গ লাম্ব্রেশট
মাত্র ১২ বছর বয়স ছিল তার। এ সপ্তাহে টুর ডি পোলনে আহত হলে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। মারা যান সেখানেই।