রাসেল খান,
রাজধানীর পথশিশু এবং ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতকালীন উপহার প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে নাইম।
শনিবার ও রবিবার রাতভর তার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি তাজওয়ার ওয়ালী, মিঠুন মোল্লা, সাইদুল মিলন সহ অনেকে ঘুরে ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ছিন্নমূলদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল শীতের কম্বল, নারী-পুরুষ এবং শিশুদের সুয়েটারসহ অন্যান্য শীতের কাপড়।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হতে থাকে রাজধানী। কমতে থাকে পথচারীদের সংখ্যা। মানুষের সঙ্গে যেন ঘুমের প্রস্তুতি নেয় লাল-নীল জাদুর শহর ঢাকা। উষ্ণতার ছোঁয়ায় মানুষ যখন ঘুমে বিভোর, তখন এ শহরে লাখও ছিন্নমূল অসহায় বস্ত্রহীন মানুষ অপেক্ষায় থাকে কখন শেষ হবে শীতের রাত্রি, দেখা দেবে ভোরের সূর্য, কমবে শীতের প্রকট কষ্ট।
শীতের মৌসুমে নগরীর ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে অবর্ণনীয় কষ্টে। বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ে ফুটপাতে শুয়ে থাকা ঘরহীন মানুষের। এসব সহায়-সম্বলহীনদের কেউ হালকা বিছানা পেতে, কেউবা বিছানা ছাড়াই শুয়ে পড়ে সড়কের ফুটপাতে অথবা গাছের তলায়, ব্রিজের নিচে। তাদের কেউ শ্রমজীবী, কেউবা নিতান্তই অসহায়।
করোনার দুর্যোগকালীন সময়েও হাজার হাজার পরিবারের মধ্যে খাবার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং ঔষধ পাঠিয়ে শেখ ফজলে নাঈম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। জনদরদি এবং পরোপকারী স্বভাবের মানুষ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। তিনি সুযোগ পেলেই কর্মহীন, শ্রমজীবী এবং হতদরিদ্র মানুষের পাশে ছুটে যান। এবার তার দেয়া শীতকালীন বস্ত্র ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ঠান্ডায় কষ্ট করছেন এমন ছিন্নমূল শিশুদের এবং নারী-পুরুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কবি সুকান্ত ভট্টচার্যের ‘শীতের সূর্য’ কবিতায় কবি লিখেছেন, ‘হে সূর্য! শীতের সূর্য!/ হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়/ আমরা থাকি,/ যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকদের চঞ্চল চোখ,/ ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্যে।/ হে সূর্য! তুমি তো জানো,/ আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!/ সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে,/ এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে/ কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!’
মানুষ মানুষের জন্য এমন স্লোগান বুকে নিয়েই যেন এই মানুষটির পথ চলা।