এ বছরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়াও দিয়েছে দেশটি। এবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমার।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) চীন ও মিয়ানমারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম প্রান্তিকে (ত্রৈমাসিক) প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু মিয়ানমার বলেছে প্রত্যাবাসন ব্যবস্থায় আরও কিছুটা সময় লাগবে। তাই আমরা বললাম দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এটি করতে পারি। তারা তাতে রাজি হয়েছে।’
মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া সামরিক বাহিনীর অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন চালানো হয়। ওই সময়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। মিয়ানমারের অভিযানের পর আট লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমার তালিকা থেকে ৪২ হাজার রোহিঙ্গা নাম যাচাই করেছে। তার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ নাম মিয়ানমার প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে প্রায় ২৮ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ক্লিয়ার করেছে। কিন্তু তার মধ্যে কোনো রোহিঙ্গাকে এখনো ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।