আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়েছের কামালা হ্যারিস। একইসঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবেও তিনি এই পদে প্রথম। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ হয়ে ইতিহাস গড়লেন তার স্বামীও।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে বলা হয় ফার্স্ট লেডি। আর ভাইস-প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে বলা হয় সেকেন্ড লেডি। কিন্তু এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট একজন নারী। ফলে ‘সেকেন্ড লেডি’ বলে আর কেউ থাকছেন না। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ হলেন হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ।
কয়েকদিন আগেই এমহফ তার এই নতুন ভূমিকা নিয়ে টুইট করেছিলেন। তাতে তিনি লেখেন, “সামনের দিন এগিয়ে আসছে, আমিও ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যানের’ নতুন ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। আমার দায়িত্ববোধও আছে। কিন্তু আমি জানি পরিবার বন্ধুবান্ধবসহ আরও অনেকের সমর্থন ছাড়া আমরা আজ এখানে আসতে পারতাম না। সামনের অধ্যায়ে পা বাড়ানোর আগে আমাদেরকে এই সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
আইনজীবী এমহফের সঙ্গে ২০১৪ সালে কমলা হ্যারিসের বিয়ে হয়। এটি কমলা হ্যারিসের প্রথম বিয়ে হলেও স্বামী ডগলাসের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। এমহফের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তবে তিনি নিউ জার্সি এবং লস এঞ্জেলেসে বেড়ে উঠেছেন। এমহফের আগের পক্ষের দুই সন্তান আছে।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ফার্স্ট লেডি হচ্ছেন তার স্ত্রী জিল বাইডেন। কিন্তু এত দিন সেকেন্ড লেডি থাকলেও এবার তো আর সেকেন্ড লেডি থাকছেন না। তাহলে কী হবে? এ নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরেই।
যুক্তরাষ্ট্রে এই পরিস্থিতি এর আগে কখনো সৃষ্টি হয়নি। কারণ, দেশটি এ পর্যন্ত কোনো নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পায়নি। ফলে সেকেন্ড লেডির জায়গায় একজন পুরুষ হলে কী হবে, তা নিয়েও কখনো ভাবতে হয়নি।
এই আলোচনার শুরু মূলত ২০১৬ সালের নির্বাচনে। কারণ, সেবার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, হিলারি জিতলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে কী ডাকা হবে? ‘ফার্স্ট জেন্টেলম্যান’, নাকি ‘ফার্স্ট স্পাউস’, নাকি ‘ফার্স্ট হাজবেন্ড’?
কিন্তু এই প্রশ্ন আর বেশি দূর এগোয়নি। কারণ, ওই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিক জয় পান।