গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদকে একজন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদপ্তর।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তদন্তের স্বার্থে ওই দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো।
কারাগারের সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারের প্রবেশপথে কর্মকর্তাদের কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পরে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা ওই নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে।
দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারীর প্রবেশের পর অফিস থেকে বের হয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দী তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন।
এ ঘটনা নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গত ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে অধিদপ্তর গঠিত তিন সদস্যের কমিটি কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে তদন্ত করেছে।