খুলনায় ‘মেসার্স টুংগিপাড়া মধুঘর’ নামক একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কারখানার কার্যক্রম বন্ধ এবং লাইসেন্সও বাতিল করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে মহেশ্বরপাশা, উত্তর বনিকপাড়ায় অভিযান চালালে ভেজাল মধু কারখানার সন্ধার মেলে। কারখানাটিতে ৬-৭ বছর ধরে বিএসটিআই এর অনুমোদন নিয়ে নিজ বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, বিভিন্ন কেমিক্যাল, চিনি এবং যৌন উত্তেজক ওষুধ মিশ্রণ করে ভেজাল মধু তৈরি করে এবং মেয়াদবিহীন নিন্মমানের বোতলে নিদিষ্ট লোগো ব্যবহার না করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এসময় ভেজাল মধু, কেমিক্যাল, ঔষধের বোতল, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, পানি মিশ্রিত গুড়, পানি মিশ্রিত কালজিরা তেল উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান এতথ্য জানিয়েছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকায় ‘মেসার্স টুংগিপাড়া মধুঘর’ নামক এ অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে কারখানার ভিতরে থাকা ১০০-১৫০ ড্রাম ভেজাল মিশ্রিত মধু, যার আনুমানিক ওজন ২০০ মণ, এক ড্রাম ভেজাল কেমিক্যাল, যার আনুমানিক ওজন ৪০ কেজি, ৪০০/৫০০টি ওষুধের ছোট বোতল, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ৮০/১০০ টি, ৪/৫ ড্রাম পানি মিশ্রিত গুড় এবং ১ ড্রাম পানি মিশ্রিত কালিজিরা তেল জব্দ করা হয়। এ সময় কারখানা মালিক মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর (৩৭)ও (৪৫) নং ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, কারখানাটির কার্যক্রম বন্ধ রাখা এবং লাইসেন্স বাতিল করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।