করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকরী অস্ত্র এখন টিকা। বাংলাদেশ সরকার বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ২৭ জন বিভিন্ন পেশাজীবী করোনা টিকা গ্রহণ করেন।
কুর্মিটোলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা টিকা দেয়ার জন্য বিভিন্ন পেশার ৩২ জনের তালিকা করা হয়। তাদের মধ্য থেকে প্রথম পাঁচজনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে টিকা দেওয়া হয়। পরে আরো ২২ জনকে টিকা দেয়া হয়।
করোনা টিকা গ্রহণকারী প্রথম পাঁচজন হলেন নার্স রুনু ভেরোনিকা কোস্তা, চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো. দিদারুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
টিকা গ্রহণকারী অন্যরা হলেন মো. মাজেদুল ইসলাম, সানজিদা সুলতানা, মো. আব্দুল হালিম, মো. এনামুল হাসান, মো. হামজা, শাম্মী আকতার, ডা. আল মামুন শাহরিয়ার সরকার, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন, ডা. আফরোজা জাহিন, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কাদের খান, মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুর রহিম, কাজী জসিম উদ্দিন, মোশারফ হোসাইন, মাসুদ রায়হান পলাশ, আল মাসুম মোল্লা, আমিরুল মোমেনিন, মুন্নি খাতুন, আশিফুল ইসলাম, দেওয়ান হেমায়েত হোসাইন।
টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, অনেকে করোনা টিকা নিয়ে অনেক রকম সন্দেহ পোষন করেছেন, সমালোচনা করেছেন, আমরা তাদের আগে টিকা দিবো। তারপর আমরা টিকা নিবো। আমরা চাই তারা সুস্থ থাকুক এবং সমালোচনা করুক।