অর্থ ও মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে আটক থাকা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সেদেশের আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এ রায় দেয়া হয়। পাচারের শিকার পাঁচজন বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে মামলাটি করে কুয়েতি প্রসিকিউশন।
এমপি পাপুলকে গত বছরের ০৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি ছিল। অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে এরপর থেকে তাকে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
মামলা ও তদন্ত চলাকালে কুয়েতের দুই সরকারি কর্মকর্তা ও এক স্থানীয়কে ভিসা বাণিজ্যের জন্য বিপুল পরিমাণ ঘুষ দেয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন পাপুল। ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারসহ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) পাপুলের পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রেখেছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে কুয়েতে পাপুলের কতো সম্পদ রয়েছে, সে তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কুয়েতে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দেশে পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্তের বিষয়ে উল্লেখ করে চিঠিতে কুয়েতে থাকা পাপুলের কোম্পানি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাবের তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েতে গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল।