রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকস সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (৩১ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে-২ এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিং এর মূল নকশা-বহির্ভূত অংশ হিসেবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা টাকা জমা দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।
যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে, তাদের ভুল বুঝিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল নকশা-বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সিতে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকান বরাদ্দ বাতিল করবে। এরপর তালা লাগিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সিতে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। মামলার বাদী কোটি কোট টাকা লেনদেনে বাধা দেয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন।
এছাড়া বরাদ্দের বিষয়টি বন্ধ করতে আসামিরা হুমকি দিতে থাকে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীর পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস পাননি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েও কোনও ডকুমেন্ট দেননি।