লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শাশুড়ি ও জামাতা উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা বিয়ে করেছেন বলেও দাবি করছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে মঙ্গলবার দুপুরে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শ্বশুর নাছির উদ্দিন। তার বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর সানাখুলি গ্রামে।
ওই জামাতার নাম এমদাদুল ইসলাম (এনদা)। বাড়ি হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমণীগঞ্জ গ্রামে। তিনি বড়খাতা বাজারে অটোরিকশার পার্টসের ব্যবসায়ী।
প্রায় দেড় বছর আগে ডিমলা উপজেলার উত্তর সানাখুলি গ্রামের নাজলী বেগমকে বিয়ে করেন রমণীগঞ্জ গ্রামের এমদাদুল। প্রায়ই মেয়ের বাড়ি আসতেন শাশুড়ি। পরে জামাতার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে নাজলী বেগম বিষয়টি টের পান। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার ঝাগড়া হতো।
এই প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন আগে স্বামীর সঙ্গে মায়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য দেখে ফেলেন নাজলী। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন স্বামী এমদাদুল।
নাজলী রাতে দরজা ভেঙে তার এক আত্মীয়ের কাছে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তিনি হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এদিকে শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান এমদাদুল।
নাজলী বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিল। তবে আমার মা আমার স্বামীর বাড়িতেই বেশি সময় থাকত। কয়েক দিন মায়ের সাথে মেলামেশা দেখে ফেলায় আমার স্বামী আমাকে মারধর করে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি হাতীবান্ধা থানায় স্বামীর নামে নির্যাতনের অভিযোগ করেছি।’
এদিকে শ্বশুর নাছির উদ্দিন জানান, ‘আমি দিনমজুরির কাজে নোয়াখালীতে গেলে, আমার স্ত্রী আছিতোন নেছা জামাই এমদাদুলের বাড়িতে থাকত। ফিরে এসে দেখি, জামাই ও আমার স্ত্রী বাড়িতে নেই। আমি স্ত্রীকে ফিরে পেতে জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি।’
জানতে চাইলে জামাতা এমদাদুল বলেন, ‘আমার স্ত্রী রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি এলাকার সবাইকে জানিয়েছি। আমি পালিয়ে শাশুড়িকে বিবাহ করি নাই।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, ‘অভিযাগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’